মনের কথা
অতীতের স্মৃতি কবিতা এক হৃদয়স্পর্শী যাত্রা

“স্মৃতি”
মিজানুর রহমান
যে স্মৃতি বারে বারে নাড়া দিয়ে যায়…
তারে কি আর কখনো ভুলে থাকা যায়…!!
রাতের দ্বী-প্রহরে যখন বসে তারার মেলা,
স্মৃতির আকাশে তখন করে তারা খেলা।
জোনাকির আলোর মত মিটি মিটি জ্বলে,
মন পুড়ে শুধু সেই স্মৃতির অনলে।
মনকে আমি বলি যতই ভুলে যেতে সব,
মন আমার তত বেশি উঠায় কলরব।
সবার কাছে সব কথা যায় না তো বলা,
সকল স্মৃতি বুকে নিয়ে একা পথ চলা।
এতো স্মৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে থাকা দায়,
দেহ থেকে প্রাণ পাখিটা মুক্তি পেতে চায়।
মূলভাব: অতীতের স্মৃতি কবিতা
যে স্মৃতি ভুলে থাকা যায় না
“অতীতের স্মৃতি কবিতা” আমাদের জীবনের সেইসব মুহূর্তের কথা বলে, যা চাইলেও ভুলে থাকা যায় না। হৃদয়ের গভীরে গেঁথে থাকা কিছু স্মৃতি বারবার ফিরে আসে।
কখনো তা হয় প্রিয় কারো মুখ, কখনো কোনো না বলা কথার প্রতিধ্বনি।
কবিতায় সেই স্মৃতির গভীর অভিঘাত উঠে এসেছে – যাকে মন ভুলতে চায়, অথচ হৃদয় বারবার খুঁজে ফেরে।
নিঃশব্দ রাত আর তারার মেলা
রাতের দ্বী-প্রহরে যখন চারপাশ স্তব্ধ, তখন মনের আকাশে জ্বলে ওঠে স্মৃতির তারা।
কবি স্মৃতি আর নিঃসঙ্গতার এক অপূর্ব মিলন ঘটিয়েছেন তারার মেলার উপমায়।
ঠিক যেমন জোনাকির আলো অন্ধকারে ক্ষীণভাবে জ্বলে, তেমনি স্মৃতির আলোয় পুড়ে যায় এক নিঃসঙ্গ হৃদয়।
না বলা কথা ও একা পথ চলা
সব অনুভূতি সবার সামনে প্রকাশ করা যায় না। কিছু স্মৃতি থেকে যায় মনের অন্দরমহলে, যেগুলো কাউকে বলা যায় না।
সেই না বলা কথাগুলোরই বোঝা নিয়ে মানুষকে চলতে হয় একা, নিঃশব্দে। এই কবিতায় সেই একাকীত্বের যন্ত্রণা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
জীবনের অনেক মুহূর্ত থাকে যা কাউকে দেখানো যায় না,অনেক কথা থাকে যা কাউকে বলা যায় নাহ।একা একাই সব যন্ত্রণা বহন করে নিতে হয় আজীবন।
বেঁচে থাকা, না বেঁচে থাকার লড়াই
স্মৃতির ভার কখনো এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে, মনে হয় প্রাণ যেন দেহ ছেড়ে মুক্তি চায়।
কবি এখানে আত্মার গভীর এক ব্যথা প্রকাশ করেছেন, যা অনুভবযোগ্য অথচ ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।
এই কবিতা শুধু একটি স্মৃতির নয়, এটি এক গভীর বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি।
আমাদের জীবন প্রতিনিয়ত নানা রকমের স্মৃতি জমা, কিছু স্মৃতি হৃদয়ে আনন্দের খোরাক হয়,কিছু স্মৃতি বেদনার অসীম সীমানায় নিয়ে যায়।
উপসংহার: অতীতের স্মৃতি কবিতা এক হৃদয়স্পর্শী যাত্রা
এই “অতীতের স্মৃতি কবিতা” আমাদের মনে করিয়ে দেয়, স্মৃতি কখনো ফেলে আসা সময় নয়, বরং বর্তমানেরই এক শিকড়।
স্মৃতি আমাদের অনুভব শেখায়, নিঃসঙ্গতা বুঝায়, আবার জীবনকে ভালোবাসতে শেখায়। এই কবিতাটি তাই শুধু কাব্য নয়—এ এক অনুভব, এক জীবনবোধ।
মনের কথা
আহ্লাদি মেয়ের কবিতা | আহ্লাদি, রাগী ও ভালোবাসায় ভরা এক চরিত্র

” আহ্লাদি মেয়ে”
মিজানুর রহমান
আহ্লাদে গা ছম ছম করে মেজাজ আছে বেশ,
পান থেকে চুন খসলেই রাগের নেই তো শেষ।
ময়না, টিয়া, বাবুই পাখি হাজার নামের সুর,
বাড়ায় যে তার গায়ের জ্বালা দুঃখ হয় না দূর।
দেও না যতই মন্ডা-মিঠাই তাহার কোল টি ভরে,
আগে কেনো দেও নি তারে সেই যাতনায় পুড়ে।
সোনা, জাদু, মানিক বলে যতই তারে ডাকি,
ভাবখানা সে বিলের বোয়াল আমরা সবাই টাকি।
ভালো-মন্দ বুঝে না সে ধারে না কারো ধার,
সামান্যতেই ভেঙে পড়ে ধৈর্য্য নাই যে তার।
মনে তাহার বিশাল মায়া স্বভাব গুণে জেদী,
পড়শীরা সব ডাকে তারে এক নামে “আহ্লাদি”
মেয়ের কবিতা | আহ্লাদি, রাগী ও ভালোবাসায় ভরা এক চরিত্র
মূলভাব:
কবিতার মূলে আছে এক রাগী-আদুরে মেয়ে
এই কবিতাটি একটি আহ্লাদি, আদুরে, রাগী মেয়ের চরিত্র তুলে ধরেছে। তার কথায় থাকে আবেগ, অভিমানে চোখ ভিজে যায়, আবার আদরে সে পুরো ঘর মাতিয়ে তোলে।
এমন মেয়েকে সবাই চিনি – কখনো প্রেমে, কখনো পরিবারের ছোট বোন রূপে। কবিতায় তার রাগ, অভিমান, ভালোবাসা, ও স্বভাবের বৈচিত্র্য হাস্যরসের সঙ্গে চিত্রিত হয়েছে।
তার রাগ, অভিমান আর আবেগ মিলে তৈরি হয়েছে হাস্যরসপূর্ণ এক মজার চরিত্র।
সে যেমন জেদি, তেমনি ভালোবাসায় ভরা।আহ্লাদি মেয়ের কবিতা আদুরে, রাগী ও ভালোবাসায় ভরা এক মেয়ের প্রতিচ্ছবি।
আহ্লাদি মেয়ে কাকে বলে?
আহ্লাদি মেয়ে মানে এমন একজন, যে খুব আদুরে হয়। সে অল্পতেই রেগে যায়, আবার ছোট্ট একটা ভালোবাসাতেই মন গলে যায়।তার আচরণে থাকে জেদ, কথায় থাকে আবেগ।
এমন মেয়েরা মায়াবী হয়, ভালোবাসা দিতে জানে, আবার অভিমান করতেও দারুণ পটু।
একটি মেয়ে যার মধ্যে থাকে বাচ্চাদের মতো আহ্লাদ, রাগ, অভিমান, আবার থাকে অগাধ ভালোবাসা।
আমাদের আশেপাশেই এমন আহ্লাদি মেয়ে কমবেশি সবাই চিনি।
হয়তো সে আমাদের প্রেমিকা, বোন, বন্ধু বা ক্লাসমেট। এই কবিতা এমনই একটি চরিত্রের মজার ও মিষ্টি প্রতিচ্ছবি।
ভালোবাসার আদুরে প্রকাশ
এই মেয়েটি আমাদের চারপাশের পরিচিত। কখনো সে প্রেমিকা, কখনো ছোট বোন।
কবিতায় তার মিষ্টি আচরণ আর হালকা রাগের চিত্র ফুটে উঠেছে।
আহ্লাদি মেয়ের কিছু চেনা বৈশিষ্ট্য
সহজে রেগে যায়
একটুখানি ভুলেও রেগে যায়। তার রাগ যেন বাচ্চার মতো, আবার মিষ্টিও।
অভিমান পোষে
ভালোবাসা না পেলে খুব অভিমান করে। কিন্তু একটু আদরেই সে গলে যায়।
জেদী স্বভাবের
নিজের পছন্দে অটল থাকে। কেউ বোঝাতে পারলেও সে নিজের মতো ভাবতেই ভালোবাসে।
ভালোবাসায় ভরা
একবার ভালোবাসলে তার মন পুরোটা উজাড় করে দেয়। সে কখনো ফাঁকি দেয় না।
উপসংহার
এই আহ্লাদি মেয়ের কবিতা আমাদের জীবনের বাস্তব চরিত্রকে ছুঁয়ে যায়। এমন মেয়েরা যেমন জেদি, তেমনি ভালোবাসায় ভরা। তারা আমাদের জীবনকে রঙিন করে তোলে। তাদের নিয়ে লেখা এই কবিতা পাঠকের হৃদয় জয় করবেই।
আহ্লাদি মেয়েরা আমাদের জীবনের রঙ। তাদের মিষ্টি রাগ, আদুরে আচরণ, আর একরোখা ভালোবাসা জীবনের চেনা গল্প।
এই আহ্লাদি মেয়ের কবিতা শুধু হাসায় না,মনেও জায়গায় করে নেয়। তাই এই কবিতা কেবল শব্দ নয়, জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।
মনের কথা
মেঘের দেশে প্রেমের কবিতা – বৃষ্টিভেজা ভালোবাসার নিঃশব্দ গল্প

তোরে লইয়া মেঘের দেশে
তামান্না রহমান
চলনা তোরে লইয়া যাই,মেঘে ঢাকা এক দেশে।
যেখানে নীরবতা বাজে,
বাতাস বাজে মৃদু বেশে।
হাল্কা বৃষ্টি পড়ে টুপটাপ,পাতায় জমে স্বপ্ন ভেজা।
তুই আর আমি পাশাপাশি,
আকাশ হাসে মৃদু সেজা।
হঠাৎ নামে বৃষ্টি জোরে, হাওয়ায় গেয়ে ওঠে গান।
ছাতিম গাছের তলে দাঁড়াই,
ভিজি দুজনে প্রাণপ্রাণ।
চোখে চোখে খেলে ভাষা, ঠোঁটে জমে মৌনতা।
তুই আমি মিলায়ে যাই,
নিঃশব্দে গড়ে ভালোবাসা।
তুই রাগ করিস যখন, মনটা ভরে যায় ব্যথায়।
আমি যাই পদ্মপুকুরে,
তুলতে শাপলা হাতে নাই।
বলব, “মনামণির মা, রাগ করে লাভ কী হয়?”
প্রেমের কথা বলার সময়,
মুখ ভারে মন নড়ে কয়।
একটা শাপলা গুঁজে দেই, তোর কানের পাশে।
তুই দেখাস ময়না পাখি,
রূপে ঝলমল হাসে।
তুই হেসে বলিস, “ঢং কইরো না, থাকো পাশে আজ।”
আমি বলি, “চলো গোসল করি,
খাই ভাতের সাঝ।”
বৃষ্টিতে কাঁপে গা, ভালোবাসা নামে ধীরে।
তুই পাশে থাকিস চুপে,
সময়টা কাটে সুধীরে।
তোর চোখে জাদু আছে, মনের ভাষায় ভরা।
সে ভাষায় আমি লিখি,
ভালোবাসা শত ধারা।
হাত ধরে রাখি তোকে, ছুঁয়ে যাই স্বপ্নের জল।
চুপি চুপি প্রেম জমে,
কুয়াশা ঘেরা এক চল।
তুই রাগ করিস, আমি হাসি, প্রেম খেলে হৃদয়ে।
জীবনটাও থেমে যায়,
তোর চাহনির ছায়ায়।
রাত নামে ধীরে ধীরে, চাঁদ আসে নীরবে।
তুই ঘুমাস পাশে আমার,
হাত রাখিস প্রেমে।
সকাল হলে বলি আবার, “চল মেঘের দেশে যাই।”
তুই থাকিস পাশে আমার,
জীবন হোক যাই যাই।
মেঘের দেশে প্রেমের কবিতা – বৃষ্টিভেজা ভালোবাসার নিঃশব্দ গল্প
মূলভাব:
ছাতিম গাছের তলে
চলনা তোরে লইয়া আজ মেঘের দেশে যাই,
যেহানে শুধু মেঘ থাকব,আর হাল্কা হাল্কা বৃষ্টি অইব।
হঠাৎ যখন মুষলধারে বৃষ্টি হইব,
তুই আর আমি ছাতিম গাছের তলে গিয়া দাঁড়াই থাকুম,
যেন তুই আর আমি দু’টা পাখি সমস্ত আকাশ,সমস্ত পৃথিবী শুধু তোর আর আমার।
তুই যখন রাগ করবি আমি তোরে কুসুম তলীর পদ্মপুকুর থেকে এক গুচ্ছ শাপলা দিয়া কমু কইগো
আমার মনার মা এতো রাগলে কি চলব,দু’জন মিললা প্রেম-পিরিতের আলাপও তো করণ লাগব।
আহো তোমার কানের পাশে একটা শাপলা ফুল গুঁজে দেই,দেহি আমার ময়না পাখিটাকে কেমন দেহায়।
আর আমি তখন এক গাল হেসে কইব হইছে আর ঢং করন লাগব না।
গোসলডা করইয়া আহো ভাত খাইবা।
ভালোবাসার ছায়ায় এক অনন্ত যাত্রা
জীবনের এক নিঃশব্দ কোণে ভালোবাসা যখন গেঁথে যায় মেঘের ভিতর, তখন শুরু হয় এক নতুন গল্প—যেখানে শব্দ নেই, আছে শুধু অনুভব। “মেঘের দেশে প্রেমের কবিতা” হলো এমন এক গল্প, যেখানে বৃষ্টি, হাওয়া, ছাতিম গাছ আর প্রেম একত্রে রচনা করে এক স্বপ্নঘেরা মুহূর্ত।
তুই আর আমি: নিঃশব্দ ভালোবাসার ভাষা
এই কবিতায় ‘তুই’ আর ‘আমি’ একসাথে হেঁটে চলে মেঘে ঢাকা এক দেশে। সেখানে আকাশ হাসে, পাতায় জমে স্বপ্ন। হঠাৎ ঝরেপড়া বৃষ্টির মতোই আবেগ গড়িয়ে পড়ে, গায়ে লাগে ভালোবাসার স্নিগ্ধতা। প্রেম এখানে মৌন, কিন্তু গভীর। ঠোঁটে নেই কথা, তবু চোখে চোখে খেলে ভালোবাসার ছায়া।
রাগ-ভালোবাসার মিষ্টি মান-অভিমান
প্রেম মানেই তো শুধু হাসি নয়—রাগ, অভিমান, আবার মিলন। কবিতায় প্রেয়সী যখন রাগ করে, প্রেমিক যায় পদ্মপুকুরে, হাতে শাপলা তুলতে। প্রেমিকের কণ্ঠে শোনা যায়, “মনামণির মা, রাগ করে লাভ কী?”
এ যেন সেই শাশ্বত ভালোবাসা যেখানে অভিমানও এক ধরনের ভালোবাসার রূপ।
শাপলা ফুলে গাঁথা প্রেমের মালা
শাপলা গুঁজে দেওয়ার দৃশ্যটি প্রেমের এক চিরন্তন প্রতীক। রূপে ঝলমল প্রেমিকা হেসে বলে, “ঢং কইরো না।”
এই বিনিময়ে দুজনের মাঝে প্রেম গড়ে ওঠে যেন এক অমলিন বন্ধনে, যেখানে শরীর ভিজে ভালোবাসায়, আর আত্মা ভরে যায় মিলনের আশায়।
চুপিচুপি ভালোবাসার সুর
মেঘের দেশে প্রেম শুধু শব্দে নয়, আবেগে দিয়ে লিখা। কবিতায় হাত ধরে রাখা, স্বপ্ন ছোঁয়া, চুপি চুপি প্রেম জমা—সব মিলিয়ে গড়ে ওঠে এক নিখুঁত রোমান্টিক আবহ।
প্রেম এখানে চোখের ভাষায় লেখা হয়, আর কুয়াশার মতো ছড়িয়ে পড়ে মনজুড়ে।
চাঁদের আলোয় শেষ না হওয়া প্রেমের গান
রাত নামে ধীরে, চাঁদ আসে নিরবে। পাশে ঘুমিয়ে থাকা প্রেয়সীর মুখে যেন শান্তির পরশ।
সকাল হলে আবার নতুন করে শুরু হয় প্রেমের গল্প—“চলো মেঘের দেশে যাই।”
এই কবিতা যেন প্রেমের এক ঘূর্ণাবর্ত, যেখানে প্রতিদিনের ভালোবাসা নতুন করে রঙ নেয়।
হৃদয়ের গভীর থেকে লেখা মেঘে ঢাকা প্রেম
এই কবিতার মূল সুর এক নিঃশব্দ ভালোবাসা, যেখানে আবেগ প্রকাশ পায় বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে, শাপলা ফুলে, আর চোখের ভাষায়।
‘মেঘের দেশে প্রেমের কবিতা’ শুধু একটি প্রেমগাঁথা নয়, বরং এক আবেগভরা যাত্রা—যেখানে দুটো হৃদয় মিলেমিশে এক হয়ে যায়।
উপসংহার:
মেঘের দেশে প্রেমের এই কবিতা যেন এক নিঃশব্দ ভালোবাসার চিত্ররূপ। বৃষ্টিভেজা প্রতিটি মুহূর্ত, শাপলা হাতে প্রেম নিবেদন, আর মনের গভীর ভাষা মিলেমিশে তৈরি করে এক স্বপ্নঘেরা আবহ। এ শুধু কবিতা নয়, হৃদয়ের প্রতিটি ধ্বনি ও অনুভবের প্রতিচ্ছবি। এই কবিতার প্রতিটি ছত্রে প্রেম যেমন রোমান্টিক, তেমনি বাস্তবতার ছোঁয়ায় মাখানো। পাঠক যেন অনুভব করেন, তাঁর নিজের জীবনের ভালোবাসার এক টুকরো গল্প। এইভাবেই, মেঘের দেশে প্রেম কখনও পুরনো হয় না—সে বেঁচে থাকে হৃদয়ের আকাশে চিরকাল।
মনের কথা
জটিল পৃথিবী-কিন্ত আমাদের চিন্তার কাছে সহজ মনে হয়

প্রতিভা
মিজান রহমান
সহজ ভাষার বুলবুলি টা,
বলতে চায় যে মনের কথা।
নেই তো কোনো জ্ঞানী শ্রোতা
বুঝবে তাহার সহজ কথা।
একটু জটিল লিখতে গেলে,
নানান প্রশ্ন আসে হেথা।
সবাই যখন প্রশ্ন করে
ধরে পাখির মাথা ব্যাথা।
উদাস মনে পাখি তখন
লুকিয়ে রাখে মনের ব্যাথা।
সরল মনের সহজ কথা
পায় না খুঁজে কুটিলতা।
হয় না তখন বিকশিত
পাখির মনের “প্রতিভা” টা।
উপশিরোনামঃ সহজ ভাবনার জটিল পৃথিবী
মূলভাব:
এই কবিতায় ফুটে উঠেছে এক সহজ-সরল প্রাণের অভিমানভরা ব্যথা।
‘সহজ ভাষার বুলবুলি’ বলতে বোঝানো হয়েছে সেইসব মানুষকে, যারা মনের গভীর থেকে সত্য কথা বলতে চায়।
তারা অলংকারে নয়, কথা বলে হৃদয়ের ভাষায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এমন সহজ কথার জন্য আজকাল সমাজে নেই তেমন শ্রোতা। যারা আছে, তারা বোঝে না।
যারা বোঝার ভান করে, তারা জটিল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সেই সরল কথার মর্ম হারিয়ে ফেলে।
বুলবুলিটি আসলে আমাদের চারপাশের সেই সব অনুভূতিপ্রবণ মানুষদের প্রতীক, যারা সহজভাবে মনের কথা বলতে চায়।
কিন্তু এই সমাজে সহজ কথা আর সহজ ভাবে নেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে যাচ্ছে।
কেউ যদি একটু জটিল বা ব্যতিক্রমী কিছু বলে, তখন নানারকম প্রশ্ন, ব্যাখ্যা আর বিচার এসে পড়ে তার উপর। তখন সেই পাখির মনে তৈরি হয় এক অভিমান, এক ব্যাথা।
এই কবিতায় সেই বিষণ্ণতারই এক নিঃশব্দ ছবি আঁকা হয়েছে। প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে পড়ে মনের ওপর চাপ।
তখন বুলবুলিটি আর তার প্রতিভা বিকশিত হতে পারে না।
তার মধ্যে থাকা সৃষ্টিশীলতা, আবেগ, ও বুদ্ধিমত্তা লুকিয়ে যায় গভীর কোন গহ্বরে।
কবি এখানে বলছেন—যদি কেউ সত্যিই শুনতে চায়, তবে সে যেন আগে বুঝতে শেখে।
এই জটিল পৃথিবী আমাদের কাছে সহজ মনে হয়,তাই বাঁচার আকুতি অনেক।
এই জটিল পৃথিবী এবং জটিল পৃথিবী’র মানুষ গুলো আরও বেশি জটিল।
তবে এখানে কবি কেবল আক্ষেপ করেননি, তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন একটি চমৎকার শিক্ষার দিকেও—আমরা যদি মানুষকে তাদের মনের মতো করে প্রকাশের স্বাধীনতা দিই, তাদের সহজ কথাকে যদি শ্রদ্ধা করতে শিখি, তাহলে সমাজ আরও মানবিক হবে।
প্রতিভা আর আবেগ একসঙ্গে বিকশিত হবে।
-
কবিতার রাজ্য2 months ago
সময় বড্ড দামী- দেওয়া মানেই কি ভালোবাসার গুরুত্ব?
-
কবিতার রাজ্য2 months ago
“অবিচ্ছিন্ন ভালোবাসা: সম্পর্কের এক অনন্য দার্শনিকতা”
-
সৃজনশীলতা2 months ago
নিখোঁজ ভালোবাসা – একাকিত্বের আধুনিক অভিধান
-
রোমান্টিক সাহিত্য2 months ago
“রাগ ও ভালোবাসার দ্বন্দ্ব: একটি আত্মনিবেদিত প্রেমের পদ্য”
-
অনুপ্রেরণার কবিতা2 months ago
একদিন এসো সময় করে – প্রেমের অপেক্ষার কবিতা
-
সৃজনশীলতা2 months ago
হৃদয়স্পর্শী বাংলা কবিতা | স্মৃতির অনামিকা ধরে এক প্রেমযাত্রা
-
সৃজনশীলতা2 months ago
ভালোবাসার বিনিময়ে হৃদয় | একটুকরো অকৃত্রিম ভালোবাসার সন্ধানে
-
অনুপ্রেরণার কবিতা2 months ago
ভালোবাসার চোখে কবিতার জন্ম হয় | প্রেম চির স্বগীয় সুখ