Connect with us

সৃজনশীলতা

দাম্পত্য জীবনে নারীর দায়িত্ব-কি জানুন

Published

on

দাম্পত্য-জীবনে-নারীর-দায়িত্ব

নারী

মিজানুর রহমান

 

(দাম্পত্য জীবনে নারীর দায়িত্ব)

হে নারী…?
তুমি সুন্নাতে আবৃত কাউকে চাও-
অথচ দরিদ্রতাকে ভয় করো।

দরিদ্রতার চেয়ে বড় সুন্নাত আর কি আছে বলো??
তুমি জান্নাতে যাওয়ার জন্য সহযোগী চাও।
তবে কেনো দুনিয়ার কষ্টকে কষ্ট মনে করো?
তুমি জান্নাতের সূখ লাভে বিভোর হয়ে যাও

তবে কেনো দুনিয়াতে অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়াও.?
তুমি রাসূল সাঃ এর স্ত্রীদের প্রেমের বর্ণনা
শুনে মুগ্ধ হয়ে যাও,অন্যদেরও শুনাও,তবে কেনো
কুঁড়েঘরে ক্ষুধার্ত থাকার কথা শুনেই ভীতু হয়ে যাও?
সুন্নাত শুধু কপালে চুমু দেওয়া আর
বাড়িতে ফিরে ফুল দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
ঘরে কিছু নেই ক্ষুধার্ত পেট চিৎকার
করছে, তবুও মুচকি হাসি দেওয়া ও সুন্নাত।
কোমল সুন্নাহ্ তো সবাই আঁকড়ে ধরতে
চায়, কিন্তু হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ্ ও সমাজ

পরিবর্তন করবে কারা??
এমন সুন্নাহ গুলোকে আকড়ে ধরুন,
যেন আমাদের রব খুশি হয়ে যান।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা, সঠিক
ভাবে আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক
দান করুন।


দাম্পত্য জীবনে নারীর দায়িত্ব: সুন্নাহ্ পালনে সফলতার সোপান


ভূমিকা: ইমানের আলোয় দাম্পত্য জীবন

“হে নারী… তুমি সুন্নাতে আবৃত কাউকে চাও, অথচ দরিদ্রতাকে ভয় করো?”—?”—এই প্রশ্নটি আজকের সমাজে নারীর মানসিকতা ও ইসলামী অনুশাসনের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গভীর ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।আমরা প্রায়ই সুন্নাতকে শুধু বাহ্যিক আমল ও রীতিনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলি,কিন্তু ইসলামের শিক্ষা এর চেয়ে অনেক গভীর।এই কবিতা মধ্যমে আমরা সুন্নাতের সত্যিকারের রূপ,দারিদ্র্য ও সংগ্রামের মাঝে সুন্নাতের সৌন্দর্য এবং নারীদের জন্য ইসলামের প্রকৃত বার্তা নিয়ে আলোচনা করব।

সুন্নাত শুধু বাহ্যিক আমল নয়, জীবনদর্শন
আমরা অনেকেই সুন্নাতকে শুধু—
– কপালে চুমু খাওয়া,
– বাড়িতে ফিরে ফুল দেওয়া,
– সুন্দর পোশাক পরা—এইসব বিষয়ের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলি।

কিন্তু সুন্নাতের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো— ধৈর্য্য, ত্যাগ ও সংগ্রাম।

 “দরিদ্রতার চেয়ে বড় সুন্নাত আর কী আছে বলো?”

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ছিল সংগ্রাম ও কষ্টের।খাদিজা (রা.) সম্পদশালী ছিলেন,কিন্তু তিনি রাসূল (সা.)-এর সাথে সব কষ্ট-দুঃখ ভাগ করে নিয়েছিলেন।আয়িশা (রা.)-এর ঘরেও অনেক সময় খাদ্যশস্য থাকত না।তাহলে “আমরা কেন শুধু সুখ-শান্তির সুন্নাতকেই আকড়ে ধরি,আর কষ্টের সুন্নাত থেকে দূরে থাকি?”


জান্নাতের সন্ধানে_কিন্তু দুনিয়ার কষ্টকে ভয় পাই?

আমরা সবাই পরকালে জান্নাতে যেতে চাই,কিন্তু জান্নাতের মূল চাবিকাঠি কি শুধুমাত্র নামাজ-রোজায়?

“তুমি জান্নাতে যাওয়ার জন্য সহযোগী চাও,তবে কেন দুনিয়ার কষ্টকে কষ্ট মনে করো?” 

রাসূল (সা.) বলেছেন,
“দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার আর কাফিরের জন্য জান্নাতসদৃশ।” (মুসলিম)

অর্থাৎ, মুমিনের জীবনই হলো পরীক্ষার।কিন্তু আজ আমরা দুনিয়ার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।অল্প দুঃখে ভেঙ্গে পড়ে আল্লাহ উপর অভিযোগ করতেও আমাদের বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ হয় না।যদি স্বামী দরিদ্র হয়,সংসারে অভাব-অনটন থাকে—তবে কি ধৈর্য্য ধারণ করা যাবে না? নাকি অভাবকেই ভয় পেয়ে সুন্নাতের পথ থেকে আমরা সরে যাব?


সুন্নাতের হারিয়ে যাওয়া রূপ: ক্ষুধার্ত পেটে হাসি

আমরা রাসূল (সা.)-এর প্রেমের গল্প শুনে মুগ্ধ হই,অথচ ক্ষুধার্ত পেটে ধৈর্য্য ধরা সুন্নাতকে ভুলে যাই।

“ঘরে কিছু নেই, ক্ষুধার্ত পেট চিৎকার করছে,তবুও মুচকি হাসি দেওয়াও সুন্নাত।” 

আয়িশা (রা.) বলতেন,
“মুহাম্মদ (সা.)-এর পরিবার কখনো দুই দিন পরপর পেট ভরে খেতে পায়নি।” (বুখারী)

তাহলে আমরা কেন দারিদ্র্যকে ভয় পাই? ইসলাম তো আমাদের শিখিয়েছে—

“ধৈর্য্য হলো ঈমানের অর্ধেক।”

বর্তমান যুগের মানুষের মধ্যে সেই ধৈর্য্যশক্তি নেই।তারা অল্পতেই ভেঙ্গে পড়ে এবং আল্লাহর পরিকল্পণার উপর নারাজ হয়।


হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ: সমাজ পরিবর্তনের দায়িত্ব

সুন্নাত শুধু ব্যক্তিগত আমল নয়,সমাজ পরিবর্তনেরও দর্শন।

“কোমল সুন্নাহ্ তো সবাই আঁকড়ে ধরে চায়, কিন্তু হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ্ ও সমাজ পরিবর্তন করবে কারা?” 

রাসূল (সা.) নারীদের সম্মান দিয়েছেন,অধিকার দিয়েছেন। কিন্তু আজ আমরা নারীদেরকে “শুধু সাজগোজ ও বাহ্যিক আমলের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখেছি”।

– কেন নারীরা দারিদ্র্যে ভয় পাবে?
– কেন সংগ্রামকে অস্বীকার করবে?

– কেন সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে না?

ইসলাম নারীকে “সহিষ্ণু,সাহসী ও সংগ্রামী” হতে শিখিয়েছে। খাদিজা (রা.) ব্যবসায়ী ছিলেন, আয়িশা (রা.) জ্ঞান চর্চা করতেন,উম্মে সালামা (রা.) যুদ্ধের ময়দানে গিয়েছিলেন। তাহলে “আমরা কেন নারীদেরকে শুধু চার দেওয়ালের মধ্যে অথাৎ গৃহ কোণায় আবদ্ধ রাখতে চাই?”


পাঠকের জন্য চিন্তার বিষয়

১|আপনি কি দারিদ্র্যকে ভয় পান,নাকি তা মোকাবিলায় প্রস্তুত?

২|সুন্নাতের কোন দিকটি আপনার জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন?

৩|নারী হিসেবে আপনি সমাজ পরিবর্তনে কী ভূমিকা রাখতে পারেন?

মন্তব্য করুন:

আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের জানান। আমাদের ফেইসবুক পেইজ “নব যুগের কাব্য” মন্তব্য করুন অথবা বার্তা লিখুন।


সমাপ্তি: আসুন,হারানো সুন্নাহকে ফিরিয়ে আনি

“এমন সুন্নাহ গুলোকে আকড়ে ধরুন, যেন আমাদের রব খুশি হয়ে যান।” 

আল্লাহ আমাদেরকে সহজ-সরল পথ দেখিয়েছেন,কিন্তু সময় এর সাথে সাথে আমরা তা জটিল করে ফেলেছি।আসুন, আমরা—
✔দারিদ্র্যকে ভয় না করে,ধৈর্য্যকে সুন্নাত মনে করি।

✔জান্নাতের আশায় দুনিয়ার কষ্টকে স্বাগত জানাই।

✔নারীরা সংগ্রামী হোন,সমাজ পরিবর্তনের অগ্রভাগে থাকুন।

“আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা,সঠিকভাবে আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।”


📌 ডিসক্লেইমার:এই ব্লগে উল্লিখিত বিষয়গুলো ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সরলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।নির্দিষ্ট ফিকহি মাসআলার জন্য মুফতি বা আলেমের পরামর্শ নিন।অনুমতি ব্যতিক্রম এই পোস্টের কোন অংশ কপিরাইট করা নিষিদ্ধ।

সৃজনশীলতা

স্বার্থান্বেষী মানুষ: সমাজের মুখোশ খুলে দেওয়া বাস্তব জীবনের চিত্র

Published

on

স্বার্থান্বেষী-মানুষ-pic

” মানুষ”

মিজানুর রহমান 

সৃষ্টিকর্তার সেরা সৃষ্টি আজব এক জাতি,
সারাক্ষণ ই ব্যস্ত থাকে ছিঁড়তে স্বজনপ্রীতি।
নিজের বেলায় গুণের ভান্ডার, দোষের নাই তো লেষ;
খানিক সুতো খুঁজে পেলেই চড়কি ঘুরায় বেশ।
কেউ বা করে পরোপকার মাথায় রেখে হাত,
কেউ বা আবার পরণিন্দায় থাকে দিবা-রাত।
পরচর্চায় কেউ বা করে নিজের স্বার্থ হাসিল,
কেউ বা আবার দুই পাখি মারে ছুড়ে একটি ঢিল।
স্বার্থান্বেষী হয়ে সবাই মিটায় মনের সাধ,
ভুলে যায় সবাই রক্তের স্রোতে যায় না দেয়া বাঁধ।
এমনি করে যায় পেরিয়ে মাসের পরে বছর,
একটা সময় বাঁধন ছেড়ে হয়ে যায়রে পর।
নিজ খেয়ালে উড়ায় সবাই মনের রঙিন ফানুস,
সৃষ্টিকর্তা সেরা সৃষ্টি’র নাম দিয়েছেন মানুষ..!!!


স্বার্থান্বেষী মানুষ কবিতা: এক নির্মম বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি


কবিতার পরিচিতি

“মানুষ” শিরোনামে লেখা এই কবিতাটি বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি।

এখানে মানুষ নামক শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব, আত্মস্বার্থপরতা এবং সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।

মানুষ কীভাবে স্বজনপ্রীতি, পরনিন্দা ও স্বার্থের জালে আটকে পড়ে—এই কবিতায় তা অনুপম ছন্দে তুলে ধরা হয়েছে।


মূল ভাবনা: স্বার্থের জালে বন্দি মানুষ

স্বার্থান্বেষী মানুষ কবিতা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আমরা কীভাবে নিজেদের স্বার্থকে বড় করে দেখি।

কারো ভালো করতে গিয়ে যদি নিজে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়, তাহলে সেই ভালোবাসা আর থাকে না।

এই আত্মকেন্দ্রিকতা ধীরে ধীরে আমাদের মানবিকতা নষ্ট করে দিচ্ছে।


স্বজনপ্রীতির বৃত্তে মানুষ

“সারাক্ষণই ব্যস্ত থাকে ছিঁড়তে স্বজনপ্রীতি।”

এই পংক্তি বুঝিয়ে দেয়, মানুষ নিজের স্বজন বা পরিবারের কাছেও স্বার্থ খোঁজে।

আত্মীয়তার সম্পর্কে যেখানে ভালোবাসা থাকার কথা, সেখানে চলছে নিজের লাভের হিসাব।

সমাজের মূলে থাকা বিশ্বাস ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে এই মানসিকতার কারণে।


গুণের ঢাক, দোষের কাঁধে বোঝা

“নিজের বেলায় গুণের ভাণ্ডার, দোষের নাই তো লেষ।”

এখানে কবি ইঙ্গিত দিয়েছেন এক নির্মম বাস্তবতার দিকে।

আমরা নিজের ভুল স্বীকার করি না, অথচ অন্যের সামান্য ভুলকে বড় করে দেখি। introspection বা আত্মসমালোচনার অভাব আমাদের স্বার্থপর করে তোলে।


পরচর্চা ও পরনিন্দার বিষাক্ততা

“পরচর্চায় কেউ বা করে নিজের স্বার্থ হাসিল।”

সমাজে এমন মানুষ আছে যারা অন্যের দুর্বলতা খুঁটে নিজের লাভের পথ খোঁজে।

পরনিন্দা শুধু একজনকে ছোট করে না, এটি সম্পর্কের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয়।

এই স্বভাব এক বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করে, যা সমাজে দূরত্ব তৈরি করে।


সমাজের দ্বিমুখী চিত্র

স্বার্থান্বেষী মানুষ’কে দুটি ভাগে ভাগ করেছে:

  1. নিঃস্বার্থ মানুষ – যারা ভালো কাজ করে চুপচাপ।
  2. স্বার্থপর মানুষ – যারা সব সময় নিজের লাভ খোঁজে।

এই দ্বিমুখী বাস্তবতা সমাজের প্রতিদিনের ঘটনা। ভালো মানুষও কখনও কখনও স্বার্থপরদের চাপে থেমে যেতে বাধ্য হয়।


স্বার্থান্বেষী মানুষ:সময়ের সাথে সম্পর্কের পরিবর্তন

“এমনি করে যায় পেরিয়ে মাসের পরে বছর, একটা সময় বাঁধন ছেড়ে হয়ে যায়রে পর।”

এই পংক্তিতে কবি সময়ের সাথে সম্পর্কের অবক্ষয়কে তুলে ধরেছেন। এক সময় যেসব সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ ছিল, স্বার্থ ফুরালে সেগুলো একেবারে অচেনা হয়ে যায়। এই বাস্তবতা সবাইকেই একবার না একবার অনুভব করতে হয়।


রঙিন ফানুসের মতো মানুষ

“নিজ খেয়ালে উড়ায় সবাই মনের রঙিন ফানুস।”

এই লাইনটি মানুষের স্বপ্ন ও কল্পনার জগৎকে বোঝায়। মানুষ নিজের ইচ্ছা আর স্বপ্নের পেছনে ছুটতে ছুটতে মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলে। ফলে একে অপরের উপর নির্ভরতা ও আস্থা কমে যায়।


সৃষ্টির সেরা জীব

মানুষ সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলেও, বর্তমান সমাজে স্বার্থান্বেষী মানুষদের আধিপত্য স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়

মানব আশরাফুল মাখলুকাত।কিন্তু বর্তমান সমাজে মানুষে মানুষে এতো কোলাহল যা দেখে মনে হয় না মানুষ সৃষ্টি সেরা।

মানব কারো ভালো দেখতে পারে না,সামনা সামনি ভালো সাজার অভিনয় করলেও পিছনে বসে কিভাবে অন্যের খারাপ করবে সেই চিন্তায় মগ্ন থাকে।

কখনো যদি কারো উপকার কর তারপর যদি কোন একটা কারণে ক্ষতি হয়ে বসে তখন পিছনের সব কথা ভুলে তোমাকে দোষারোপ করবে।এইটাই হল সৃষ্টির সেরা জীবের বৈশিষ্ট্য।

কবিতায় চিত্রায়িত হয়েছে এমন এক জাতির কথা, যারা নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে সম্পর্কের বাঁধন ছিঁড়ে দেয়।

তারা কখনো স্বজনপ্রীতির নামে, কখনো আবার পরনিন্দা কিংবা কুৎসা রটনার মাধ্যমে সমাজকে বিভ্রান্ত করে।


উপসংহার

স্বার্থান্বেষী মানুষ কবিতা একটি সামাজিক দিকনির্দেশনা। এখানে মানুষ নামক জীবটির দ্বৈততা, ভণ্ডামি, এবং আত্মমুখীনতা তুলে ধরা হয়েছে।

এই কবিতা আমাদের শেখায়, যদি আমরা নিজেদের ভুল বুঝে পরিবর্তন করতে পারি, তবেই সত্যিকারের মানুষ হওয়া সম্ভব।

এটি এক বাস্তব আয়না, যেখানে সমাজের চেহারা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। কবি বোঝাতে চেয়েছেন, সম্পর্ক ক্ষণস্থায়ী হতে পারে কিন্তু মানবিক মূল্যবোধ চিরস্থায়ী হওয়া উচিত। আত্মসমালোচনা ও সচেতনতা এই কবিতার মূল বার্তা।


পাঠকের জন্য বার্তা

এই কবিতা আমাদের আত্মসমালোচনার সুযোগ করে দেয়। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে মানুষ হতে চাই, তবে আমাদের স্বার্থপরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মানবিক গুণাবলিই একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ করে তোলে। ভালোবাসা, সহানুভূতি ও নিরপেক্ষতা থাকলেই সমাজ সুন্দর হয়।

Continue Reading

সৃজনশীলতা

ভালোবাসার বিচ্ছেদ | বিচ্ছেদের বুকে জমে থাকা ভালোবাসা

Published

on

ভালোবাসার-বিচ্ছেদ-pic

বিদায়ের আলোছায়া

তামান্না রহমান

(ভালোবাসার বিচ্ছেদ)

আছো কেমন?
দিব্যি ভালো!
নতুন করে স্বপ্ন দেখ?
দেখার মতো নেই যে আলো!
তোমার আলো কোথায় হারালো?
অন্ধ করে যে পালালো।

আমায় কেনো ভুল বুঝলে?
তুমি কি নিভুল ছিলে?
ভুলত আমার অল্প ছিল!
হুম..মিথ্যা প্রেমের গল্প ছিল।
বাসতাম তোমায় সত্যি ভালো!
তাই বুঝি ফেলে পালালে?

বেকার মানুষ তাই তো তখন;
আর থাক বলতে হবে না এখন।
সত্যি তোমায় বেসেছিলাম ভালো
বেকার বলে ছাড়তে হল?

আমি ছিলাম নিরূপায়!
ছেড়ে দিয়ে পেয়েছ তো উপায়?
সে সব কথা থাকনা পড়ে;
হুম..ধূলোপড়া পুরনো চ্যাপ্টারে।
সংসার জীবন কেমন চলে?

তুমি যেমন চেয়েছিলে।
বড্ড পরিবর্তন তোমার মাঝে;
তোমার জীবন কেমন চলে?
আছি ভালো সব মিলিয়ে!
সেটাই তো থাকার কথা।
হা হা ভালো থাকি চাওনা বুঝি?
চাওয়ার মতো কি বা বুঝি?
অনেক কিছু বুঝতে তখন।
সেই তখনটা নেই তো এখন।

আমার কথা মনে পড়ে?
আচ্ছা আমি এখন আসি!
সংসার নিয়ে ব্যস্ত বুঝি?
এসব শুনার কি প্রয়োজন?
আচ্ছা তুমি থাকো ভালো।
বিদায় বেলায়ও বলে ছিলে।
চাই তো ভিষণ ভালো থাকো!
তাই তো আজ এমন হলো।
নিজের প্রতি খেয়াল রেখো!

মেয়ের স্কুল ছুটি হল।
তাহলে এখন যাচ্ছো চলে।
আজীবনের জন্য তো ছেড়ে ছিলে।।
ছাড়তে চাইনি তখন আমি!
মিথ্যা আজও বলছ তুমি।
পারলে আমায় ক্ষমা করো!
বিধাতার কাছে চেয়ে নিও।।।



কবিতার মূলভাব:ভালোবাসার স্মৃতি ও বিচ্ছেদ এর কবিতা

১. ভালোবাসার স্মৃতি ও বিচ্ছেদ

ভালোবাসার স্মৃতি ও বিচ্ছেদ জীবনের এক চিরন্তন গল্প। কিছু ভালোবাসা রয়ে যায় শুধু হৃদয়ের কোণে। কিছু সম্পর্ক মুছে গেলেও তার ছায়া পড়ে থাকে মনে। এই কবিতায় সেই হারানো ভালোবাসা ও তার ভাঙনের যন্ত্রণা উঠে এসেছে এক নিঃশব্দ কথোপকথনের মাধ্যমে।

২. অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক

প্রেমিক বলে—সে সত্যিই ভালোবাসত, কিন্তু বেকারত্বের কারণে সে সম্পর্ক ধরে রাখতে পারেনি। সম্পর্কের মাঝে তখন দারিদ্র‍্য ছিল, সঙ্গী ছিল না স্থিরতা। প্রিয়জন তাকে ছেড়ে চলে যায়, আর সেই ক্ষত রয়ে যায় চিরকাল।

৩. অতীত ভালোবাসার স্মৃতি আর বর্তমান জীবনের ব্যবধান

প্রেমিকা এখন সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তার জীবনে এসেছে পরিবর্তন। কথক দেখে—তাকে ছাড়া সবকিছু চলেছে ঠিকঠাক। অথচ তার নিজের মধ্যে রয়ে গেছে অতীতের ছায়া, পুরনো স্মৃতির ধুলো পড়া পাতাগুলো।

৪. বিদায় ও ক্ষমার বার্তা এবং ভালোবাসার বিচ্ছেদ

শেষে কবিতার কথক একটি নরম বিদায়ের সুরে কথা বলে। সে জানায়, সে ভুল বোঝেনি, বরং আজও ভালোবাসে। ক্ষমা চায়—যদি কোনোদিন কষ্ট দিয়ে থাকে। বিদায় জানিয়ে বলে, “নিজের প্রতি খেয়াল রেখো”, ঠিক যেমন ভালোবাসার শেষ ইচ্ছা হয়।আজীবনের জন্য দুটি মানুষ আলাদা আলাদা পথ বেঁকে গেল।শুধু হৃদয়ে রয়ে গেল ভালোবাসার স্মৃতি ও বিচ্ছেদ এর যন্ত্রণা।


শেষ কথা

ভালোবাসার স্মৃতি কখনও পুরনো হয় না,তা সময়ের গহীনে স্নিগ্ধ আলোর মতো জ্বলতে থাকে।সেই মধুর মুহূর্তগুলিই হয়ে ওঠে একাকীত্বের অবলম্বন,যখন বিচ্ছেদের ব্যথা চেপে বসে বুকের গভীরে।

ভালোবাসা হারিয়ে গেলেও তার ছায়া রয়ে যায় হৃদয়ের আঙিনায়,প্রতিটি নিশ্বাসে, প্রতিটি নির্জনতায়।
বিচ্ছেদ আমাদের কাঁদায়, ভেঙে দেয়, কিন্তু শেখায় —
ভালোবাসা কখনো মুছে যায় না, বদলে যায় শুধু তার রূপ।
শেষ পর্যন্ত, স্মৃতিই হয়ে থাকে ভালোবাসার সবচেয়ে সুন্দর আশ্রয়।

Continue Reading

সৃজনশীলতা

বাঙালির বৈশাখ: প্রাণের উৎসব ও সংস্কৃতির রঙে রাঙানো ঋতু

Published

on

বাঙালির-বৈশাখ

বৈশাখের আগুন

মিজানুর রহমান

বৈশাখ, তুমি ঝড়ের হাওয়া, আগুনের ফুলকি,
মাটির বুকে জাগিয়ে দাও জীবনের ধুকপুকি।
শিমুল-পলাশ রাঙা হয়ে ফোটে তোমার ডাকে,
গ্রামের পথে হিল্লোলে মাতে নতুন সুরের বাঁকে।
হাওরে দোলে নৌকার মাঝি, গায় বাউলের গান,
বৈশাখ, তুমি বাঙালির বুকে, নতুন প্রাণের প্রাণ।
মঙ্গল শোভায় মেতে ওঠে গাঁয়ের হাটবাজার,
মেলার ধুলোয় মিশে যায় হাসি, নাচে রঙিন ষাড়।
হালখাতার পাতায় লেখা নতুন দিনের হিসাব,
বৈশাখ, তুমি জাগাও মনে অপার সম্ভাব।
গ্রীষ্মের তাপে পুড়লেও মন, তুমি দাও ছায়ার সুখ,
কৃষকের ঘামে, কবির কলমে, জন্ম নেয় নতুন রুপ।
বৈশাখ তুমি চির জাগ্রত, তুমি প্রাণের ঢেউ,
বাঙালির রক্তে বয়ে চলো তুমি, বাঁধা দিবে না কেউ।
এসো তবে, নতুন বছরে আলোর ডাক নিয়ে,
বৈশাখ, তুমি ছড়িয়ে দাও প্রেম, শান্তির পরশ দিয়ে।
তোমার রোদে, তোমার ছায়ায়, ফুটুক ফুলের হাসি,
বাংলার মাটি, বাংলার মানুষ, থাকুক চির উচ্ছ্বাসী।


কবিতার মূলভাবঃ 


ভূমিকা: বৈশাখের আবাহন

বৈশাখ বাঙালির জীবনে এক নতুন সূর্যোদয়ের নাম। এই কবিতায় বৈশাখকে প্রাণের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

ঝড়, আগুন, ফুলকি, আর নতুন আশার বার্তায় বৈশাখ বাঙালির মনে সৃষ্টি করে প্রাণচাঞ্চল্য।


প্রকৃতির রূপে বৈশাখ

শিমুল-পলাশের রাঙা রঙে ফুটে ওঠে বৈশাখের রূপ। গ্রামের পথে হাওয়ার ঝাপটায় সুরের ঢেউ নামে।

বৈশাখ যেন প্রকৃতির ক্যানভাসে এক অদ্ভুত রঙের ছোঁয়া দেয়। বাউল গানের সুরে, নৌকার দোলায় বাঙালি ফিরে পায় তার শিকড়ের টান।


মেলা ও উৎসবের প্রাণবন্ততা

বৈশাখ মানেই উৎসব। গাঁয়ের হাটবাজারে মঙ্গল শোভাযাত্রা আর ষাঁড় নাচে আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেয়।

মেলামেশায় মিলিয়ে যায় শহর-গ্রামের ভেদাভেদ। মানুষের মুখে হাসি, পায়ে নাচ। বৈশাখ আসে শান্তি আর আনন্দের আহ্বান নিয়ে।


নতুন বছরের নতুন সূচনা

হালখাতা খুলে নতুন দিনের হিসাব শুরু হয় বৈশাখে। পুরনো ভুল আর ক্লান্তিকে সরিয়ে জীবন পায় নতুন দিশা। বৈশাখ বাঙালির মনে সম্ভাবনার আলো জ্বেলে দেয়।


কৃষক ও কবির চোখে বৈশাখ

প্রচণ্ড গ্রীষ্মেও বৈশাখ দেয় ছায়ার স্বস্তি। কৃষকের ঘামে জন্ম নেয় সোনালী ফসল। কবির কলমে উঠে আসে নবজাগরণের ভাষা। বৈশাখ শুধু ঋতু নয়, বৈশাখ হলো সৃষ্টির স্পন্দন।


বাঙালির চেতনায় বৈশাখ

বৈশাখ বাঙালির রক্তে গাঁথা। সে চির জাগ্রত, চির নবীন। তাকে কেউ রুখে রাখতে পারে না। সে আসে বারবার, ভালোবাসা আর শান্তির বার্তা নিয়ে।


উপসংহার: বৈশাখ মানেই ভালোবাসা

শেষে কবি আহ্বান করেন, বৈশাখ যেন ছড়িয়ে দেয় প্রেম ও শান্তির পরশ। তার রোদে ফুটুক নতুন সম্ভাবনার ফুল। বাংলার মাটি আর মানুষ থাকুক চির উচ্ছ্বাসী, বৈশাখের মতোই নবীন ও চিরসবুজ।

Continue Reading
বৃষ্টির-কবিতা-বাংলা-pc
Uncategorized3 weeks ago

“বৃষ্টির কবিতা বাংলা | কদম ফুলের স্মৃতি ও হৃদয়ছোঁয়া পদ্য”

কোরবানির-প্রকৃত-অর্থ-pc
Uncategorized3 weeks ago

“কোরবানির প্রকৃত অর্থ কি? ইসলামে আত্মত্যাগের মহিমা”

আষাঢ়ে-অপেক্ষা-পিক
Uncategorized4 weeks ago

আষাঢ়ে অপেক্ষা কবিতা | বৃষ্টির স্মৃতিতে এক হারানো প্রণয়ের আখ্যান

টক্সিক-রিলেশনশিপ-কবিতা-pc
Uncategorized4 weeks ago

টক্সিক রিলেশনশিপ কবিতা | সম্পর্কের নীরব যন্ত্রণা ও বিচ্ছেদের অনুভূতি

ভালোবাসা-নাকি-স্বার্থপরতা-pic
Uncategorized1 month ago

“ভালোবাসা নাকি স্বার্থপরতা? – আধুনিক সম্পর্কের গভীর বিশ্লেষণ”

ঋতুভিত্তিক-কবিতা-pc
Uncategorized1 month ago

“ঋতুভিত্তিক কবিতা: প্রকৃতির ছন্দে ভালোবাসার ছয়টি পর্ব”

ভাঙনের-শব্দহীনতা-pc
Uncategorized1 month ago

ভাঙনের শব্দহীনতা: একটি অন্তর্বেদনার কবিতা বিশ্লেষণ”

রাজত্ব-কবিতা-pc
Uncategorized1 month ago

“রাজত্ব কবিতা: বিদ্রোহ, ন্যায় ও মানবতার গভীর বিশ্লেষণ”

কটাক্ষের-জবাব-pc
জীবনচক্র1 month ago

“কটাক্ষের জবাব: আমি এক পিস্ আত্মমর্যাদা ও অদম্য মনোবলের পদ্য”

রবের-প্রতি-ভালোবাসা-pc
কবিতার রাজ্য1 month ago

রবের প্রতি ভালোবাসা – ইসলামিক হৃদয়স্পর্শী কবিতা

Title

Trending